লগডাউনের সুযোগে কলাপাড়ায় বসতবাড়ি দখলের চেষ্টাসহ পুকুর থেকে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের মঞ্জুপাড়া গ্রামে চান্দুপাড়া মৌজার ২৯ নং খতিয়ান থেকে ৪৮ শতাশং জমি সাব কবলা দলিল মূল্যে ক্রয় করেন রফিকুল ইসলাম তার পুত্র রাকিবুল ইসলামের নামে। সম্পত্তি ক্রয় করার পর থেকে দীর্ঘবছর বসতবাড়ি নির্মান করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছিলো। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ ওই সম্পত্তি মিথ্যা দাবী করে তরিক খাঁয়ের নেতৃত্বে দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন হাসান খাঁ, আজাদ খাঁ, খোকন, মিজু খাঁ, কুট্টি খাঁ এবং জাহিদ খাঁ।
অভিযোগের ভিত্তিতে আরো জানা যায়, ২৫ এপ্রিল তারিক খানের নেতৃত্বে রাকিুবুলের পুকুর থেকে জোরপূর্বক জাল ফেলে পাচ মন চাষকৃত মাছ ধরে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এসময় তাদের বাধা দিলে খুন করার হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর আবার ৩ মে রবিবার সকালে অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে জোড় পূর্বক পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
রাকিবুল জানায়, কোন উপায়আন্ত না পেয়ে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়-ভিতীর মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি।
অভিযুক্ত লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ’র সভাপতি তারিক খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সম্পত্তি আমাদের বাপ-দাদার। আমরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করলে উল্টো আমাদের বাজে ভাষায় গাল মন্দ করে।
মাছে বিষয় তুলতেই তিনি বলেন, দুই একজন পুকুরে নামছিল কিন্তু কেউ মাছ ধরেনি। স্থানীয় মানুষ সাক্ষী আছে। এছাড়া কলাপাড়া থানা পুলিশ এখানে এসেছিল তারাও জানে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ড্রেজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায় স্থানীদের মাধ্যমে সমাধান করতে বলা হয়েছে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আগামী নিউজ/ মুরাদ/ তাওসিফ